BSF এর ছাউনি জ়িরো লাইনে সরায় 'স্বস্তি' দু'তরফেই

 


জলঙ্গির পর এবার রানিনগরেও সীমান্তে জিরো পয়েন্টে চলে গেল বিএসএফের ছাউনি। গত মঙ্গলবার ছাউনি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ওই জায়গায়। তাতে কিছুটা 'স্বস্তি' পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগ, সম্প্রতি বিএসএফের বিরুদ্ধে কড়াকড়ির অভিযোগ এনেছিলেন ওই এলাকার কিছু বাসিন্দা।

বিএসএফের কর্তাদের দাবি, এর ফলে তাঁদেরও কাজের সুবিধে হল। কারণ, স্থানীয় চাষি বা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে তাঁদেরও বচসায় জড়াতে হয়েছে অতীতে। বিএসএফের আউটপোস্ট ফের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় সরে যাওয়ায় এ দেশের চাষিদের চরে গিয়ে চাষ করা সহজ হবে। বাঁচবে জমির ফসল। চাষিদের একাংশ এতদিন অভিযোগ করতেন, জিরো লাইন বরাবর বিএসএফ না থাকায় পড়শি রাষ্ট্র থেকে একদল দুর্বৃত্ত ফসল কেটে নিয়ে যেত। কখনও গবাদি পশু ঢুকিয়ে ক্ষতি করছিল ফসলের।

বিএসএফের নজরদারির 'কড়াকড়ি' নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা। তাঁরা কখনও রাস্তা অবরোধ করেছেন, কখনও বিএসএফ ক্যাম্প ঘেরাওয়ের ঘটনাও ঘটেছে রানিনগরে। চাষের খেতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একাধিক বার গন্ডগোল হয়েছে বিএসএফের সঙ্গে গ্রামবাসীদের। পঞ্চায়েতের কর্মকর্তা থেকে ব্লক প্রশাসন, পুলিশ-সকলেই নিশ্চিন্ত বোধ করছেন সেই পরিস্থিতি আর তৈরি হবে না জেনে। বিএসএফ যে চাষের নামে পাচারের পাল্টা অভিযোগ তুলত, সেটাও বন্ধ হবে বলে বক্তব্য তাঁদের। রানিনগরের তৃণমূল বিধায়ক সৌমিক হোসেন বলেন, "ছাউনি জিরো পয়েন্টে সরে যাওয়া স্বস্তির। এই বিধানসভা এলাকার একটা বড় সমস্যা ছিল এটি। এ বার সীমান্তের চাষিরা স্বস্তিতে চাষবাস করতে পারবেন।" বিএসএফের এক কর্তা বলেন, " এটা আমাদের কাছেও স্বস্তির। হাজার হাজার চাষিকে প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণ করা, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা ছাড়াও অনেক বাড়তি ঝঞ্ঝাট পোহাতে হত। সেই সমস্যা দূর হল।"





Next Post
No Comment
Add Comment
comment url