সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করার দাবী SDPI এর
সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার না করলে বুঝে নিতে হবে মুসলিম গণহত্যা তথা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মৌন সমর্থন রয়েছে তৃণমূলের: হাকিকুল ইসলাম
উন্নত প্রযুক্তি ও ক্ষমতা সম্পূর্ণ ইংরেজরাও চেয়েছিল আজীবন ভারতবর্ষকে শাসন ও শোষণ করতে। দুটো সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে। কিন্তু দেশের ঐক্য ও আত্মত্যাগের চেতনায় তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। আজও সাম্প্রদায়িক শক্তি এদেশের ঐক্য নষ্ট করতে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাতে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল গুলির অবস্থান অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
সম্প্রতি বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার "হিন্দু পরিচয় দিয়ে আত্মরক্ষা"র কথা বলেছেন, ভালো হিন্দু হওয়ার উপদেশ দিয়ে বাড়িতে তলোয়ার রাখতে বলেছেন। অপরদিকে কার্তিক মহারাজের মতো উগ্রপন্থীর অনুগামীরা দাঙ্গায় ধরা পড়লেও ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিমদের জঙ্গি তকমা লাগিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে, শতাধিক অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেও মুসলিমদের নাম চিহ্নিত করে বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাংলার জনগণকে খুবই সচেতনতার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে, অপরাধীকে অপরাধের দৃষ্টিতে দেখতে হবে, অনুপ্রবেশকারীকে অনুপ্রবেশকারীর দৃষ্টিতে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কৌশল মোতাবেক যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায় তবে লক্ষাধিক মায়ের সন্তানের রক্তে সাজানো এই দেশকে অন্ধকার গ্রাস করে নেবে।
এসডিপিআই রাজ্য সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছে– শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করার। পাশাপাশি এই দাবি জানাচ্ছে, তাদের প্রোপাগান্ডাকে প্রতিহত করতে, হিন্দুরা হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা না মুসলিমদের দ্বারা বিপদের সম্মুখীন রয়েছে তা যাচাই করতে রাজ্যের প্রতিটা মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ও আরএসএস-এর স্কুলে তল্লাশি করার।
রাষ্ট্রের সবচাইতে বড় শক্তি "ঐক্যকে" মজবুত রাখতে রাজ্য সরকার যদি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে বাংলার সচেতন নাগরিকের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে মুসলিম গণহত্যা তথা বৃহত্তম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মৌন সমর্থন রয়েছে তৃণমূলের।
হাকিকুল ইসলাম
রাজ্য সাধারণ সম্পাদক
এসডিপিআই