পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এসডিপিআই-এর মোমবাতি মিছিল কলকাতা
কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল যে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ জন নিরীহ তীর্থযাত্রী ও পর্যটক মৃত্যু হয়েছে, তা শুধুমাত্র একটি জঙ্গি আক্রমণ নয় — এটি গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মানবিক চেতনা এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর চরম ব্যর্থতা। এর বিরুদ্ধে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দিতে সারা দেশব্যাপী মোমবাতি মিছিল করল সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। তারই অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের— কলকাতা, উত্তর দিনাজপুরের করনদিঘী থানার টুনিভিটাতে, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, ডোমকল, ইসলামপুর ও হরিহরপাড়াতে মোমবাতি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
কলকাতার মল্লিকবাজার থেকে পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মোমবাতি মিছিলে হাঁটেন দলের রাজ্য সভাপতি হাকিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি তায়েদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ কামাল বাসিরুজ্জামান ও হাসিবুল ইসলাম, সম্পাদক মোঃ সারুর আলম, সদস্য মোঃ আসাদুল্লাহ, সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ।
৭ পয়েন্টে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় রাজ্য সভাপতি হাকিকুল ইসলাম বলেন— এত বড় ধরনের হামলা যেখানে আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, এই হামলা কি শুধু গাফিলতি, না কি এটি একটি পরিকল্পিত অবহেলা? এই প্রশ্ন আজ সারা দেশের মানুষের।
তিনি আরও বলেন— দেশের মানুষ মরছে, আর তথাকথিত ‘গোদি মিডিয়া’ জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের খেলায় মেতে উঠেছে। ২৮টি প্রাণ চলে যাওয়া আমাদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের কাছে দুঃখজনক নয়, তারা হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি করার খোরাক পেয়েছে। যদি সত্যি তারা দেশের স্বার্থে ব্যথিত হয়ে থাকে তবে এই হামলা কেনো ঘটেছে তার বাস্তবতা ১৪২ কোটি জনগণের কাছে উপস্থাপন করুক ।
এসডিপিআই-এর স্পষ্ট অবস্থান: এই হামলার পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ, ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।
এই হামলা শুধু কাশ্মীরের নয়, দেশের গণতন্ত্র, নিরাপত্তা, একতা ও মানবতার উপর। আমরা মনে করি—যখন হিন্দু, মুসলিম, দলিত, আদিবাসী, খ্রিস্টান সবাই একসাথে, একে অপরের সহযোগী হয়ে দেশের শত্রুর মোকাবিলায় একে অপরের পাশে দাঁড়াবে তখনই দেশ বিরোধী শক্তির পরাজয় ঘটবে।
আলম সেখ
রাজ্য প্রেস সচিব
এসডিপিআই