ভারতে গে*রুয়া স*ন্ত্রা*স, বিপন্ন বাঙালি শ্রমিক

 


ভারতে গে*রুয়া স*ন্ত্রা*স, বিপন্ন বাঙালি শ্রমিক /মোহাম্মদ সাদউদ্দিন 

---------------------------------------

 ভারতে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গুজরাট,রাজস্হান, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ , মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র , অসম তামিলনাড়ু ,পাঞ্জাব , হরিয়ানা , সহ বিভিন্ন রাজ্যে যারা কর্মরত তাদের জীবনজীবিকা যেমন বিপন্ন হচ্ছে তেমনি শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাংলাভাষায় কথা বলার জন্য তাদেরকে চিহ্নিত হতে হচ্ছে বাংলাদেশী হিসাবে । হয় তাদেরকে পুশ করা হচ্ছে বাংলাদেশে, নতুবা তাদেরকে দীর্ঘদিন হাজতবাস ও জেলের‌ ঘানি টানতে হচ্ছে। আর এস এস -বিজেপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠন সবচেয়ে বেশি এইকাজ করছে। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে এগুলো করা হচ্ছে। এরফলে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী মানুষ একটা গভীর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তাদের জীবনজীবিকা নিয়ে। বিজেপি শাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা যখন ঐ রাজ্যের বাঙালিদের হুমকি দেন ও কটূক্তি করেন ,তখন পরিস্হিতি খুব উদ্বেগের। আতঙ্ক বেড়ে চলেছে বাংলাভাষী শ্রমিক ও পেশাজীবীদের। এর ফলে আঞ্চলিকতা বা প্রাদেশিকতা বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা। ঐ সমস্ত রাজ্যগুলিতে যারা কাজ করতে যান তাদের বেশিরভাগ হচ্ছেন মালদা -মুর্শিদাবাদ- বীরভূম-দুই ২৪ পরগণা-দুই দিনাজপুর-কোচবিহার-দুই বর্ধমান -নদীয়ার। এরা মূলত বঙ্গভাষী। ধর্মীয়ভাবে হিন্দু-মুসলিম হলেও মুসলিমদের সংখ্যাটাই বেশি। এতদিন পর্যন্ত বিজেপি-আর এস এস ধর্মীয় বিভাজন টানছিল সবক্ষেত্রেই। কিন্তু এখন এই ভাষাভিত্তিক বিভাজন আরেক ধরণের বিভাজন ও সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিচ্ছে। 'হিন্দী-হিন্দু-হিন্দুস্তান' নামক বিজেপির চিরাচরিত সেই শ্লোগানকে এখন জোরপূর্বক কার্যকর করার চেষ্টা করছে। বিজেপি-আর এস এসের এই অন্য কায়দার সন্ত্রাস বাঙালি শ্রমজীবীদের উপর নামিয়ে এনে একজন বাঙালি ভারতীয় নাগরিককে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলেছে। আসামের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ফরমান জারি করে দিয়েছেন যে, যারা বাংলাভাষায় কথা বলবেন , তাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। এতে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা ভারতের বঙ্গভাষী ঘোর চিন্তিত ও বিপন্ন। আসামে সত্তরের দশকের বাঙালি খেদাও আন্দোলন বাঙালিদের আতঙ্কিত করে তুলেছিল। ১৯৮২ সালে আসামের নেলি গণহত্যা কার্যত বাঙালি হত্যাতে পরিণত হয়েছিল। সেই আতঙ্ক আজো বাঙালিদের পেয়ে বসেছে ঘর পোড়া গরুর সিঁদুরে মেঘ দেখার মতোই। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি বাঙালিও গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত কলকারখানা ও শিল্পাঞ্চল বাঙালিদের হাতে রয়েছে তারাও নিজেদের জীবন জীবিকা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে । বিজেপি-আর এস এসের এই জটিল কায়দার সন্ত্রাসে বাঙালি ও বাংলাভাষীরা কার্যত আতঙ্কিত। পশ্চিমবঙ্গে বিড়ি, রেডিমেড বস্ত্র , পাথর খাদান, বালির খাদান, কাটাকাপড়, জরি শিল্প, এম্ব্রোড্রায়রি, খাদিম চপ্পল , রাজমিস্ত্রি, প্লাসটিক ও ব্যাগ কারখানা সবটাই বাঙালি মালিক ও শ্রমিকদের হাতে।


এবার একটু বিজেপির অতীত সন্ত্রাসের বর্ণনা দেওয়া প্রয়োজন মনে করছি।


নিজামের শহর হায়দরাবাদের মক্কি মসজিদ বা সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মনে আছে? কে ঘটিয়েছিল এই বিস্ফোরণ? আর এস এসের নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর ও কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার যারা ছিলেন আর এস এসের । মুম্বাই বিস্ফোরণের সময় পুলিসের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসার হেমন্ত কারাকারকে কারা খুন করেছিল? সেই সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা।

এ সম্পর্কে মুম্বাই পুলিসের প্রাক্তন আইজি এস এম মুসরিফের “‘Who killed Hemanta Karakar’ ও ‘আর এস এস সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন” পুস্তকে সুন্দর দেওয়া আছে। আর তখন থেকেই প্রমাণিত হয়েছে সন্ত্রাসের আরেক নাম গেরুয়া। তারপরেও আমরা দেখলাম মুক্তমনা প্রগতিশীল গোবিন্দ পানসারে, নরেন্দ্র দাভোলকর, কালবুর্গী বা গৌরী লঙ্কেশরা কীভাবে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হলেন। এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না দলিত সন্তানরাও। রোহিত ভেমুলা তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত

। বিজেপি শাসিত যোগীর রাজ্যে তো ২৫০-র মসজিদ ভাঙা হল বুলডোজার দিয়ে। এটা চলছে সব ধরণের বিজেপি শাসিত রাজ্যেই।গোটা পশ্চিম ভারত, উত্তরভারত বা উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়ে পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের কীভাবে মবলিঞ্চিং বা নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে যা নিদারুণ। পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গভাষী পরিযায়ী শ্রমিকরা বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাদেশি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে নিদারুণ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আবার তাদের বাংলাদেশি হিসাবে পুশ ব্যাক করা হচ্ছে। এ কোন প্রবণতা বিজেপি-আর এস এসের? তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনলেও কুকুরের মতো আচরণ করা হয়। আমরা কোন জগতে বসবাস করছি যেখানে 'নিজ ভূমে পরবাসী'।এতো গেল সর্বভারতীয় দিক।

আর এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি মুর্শিদাবাদে বা মালদহে কী ঘটছে। ঘটনার সূত্রপাত মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কার্তিক লড়াইয়ে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগকে কেন্দ্র করে ।ঐ ঘটনায় সায়ন হালদার ধরা পড়লেও ষড়যন্ত্রের জাল কিন্তু খুব গভীরে। এই সায়ন কিন্তু কার্তিক মহারাজ বা ভরতনাথ ঝাওয়ারদের মোটিভেটেড। আর নিমতিতার ঘটনা কী প্রমাণ করছে? বহরমপুরে তার আগে জেলা বইমেলায় কারা উত্তেজনা তৈরি করল ? ইতিহাস কি ক্ষমা করবে এদের ? তারপর এবছরের এপ্রিল মাসে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ -ধুলিয়ান বা সুতি-অরঙ্গাবাদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সব হিসাবকেই পাল্টে‌ দিয়েছে। ধুলিয়ানের ডাকবাংলা মোড়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে আগত অবাঙালি হিন্দু ব্যবসায়ীদের ধুলিয়ানের বাঙালি বিড়ি শিল্পপতিদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় বিজেপি-আর এস এস সাম্প্রদায়িকতার আগুন জ্বালিয়েছে। ওয়াকফ আন্দোলনকে অজুহাত করেই দাঙ্গাকে সংগঠিত করে বিজেপি-আর এস এস। এটাই হল মোদ্দা কথা। কেন বেছে বেছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ-মালদহকে‌ বেছে‌ নেওয়া হয়? কেনই বা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার আগুন লাগানো হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে?

ঠিক একইভাবে কলকাতার উপকন্ঠে রেডিমেড গার্মেন্টস কারখানাগুলি তো নিয়ন্ত্রণ করে মুসলিমরা। মেটিয়াবুরুজ-গার্ডেনরিচ-

সন্তোষপুর-আকড়া-মহেশতলা-রবীন্দ্রনগরের রেডিমেড গার্মেন্টস কারখানাগুলির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে‌ সম্প্রতি রবীন্দ্রনগরে দাঙ্গাকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। ঐ এলাকা ৮০ শতাংশ মুসলিম। কিন্তু তারা তাদের রাগকে সামাল না দিলে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে যেত। আসলে এবছরের নভেম্ভরে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। ২০২৬ সালের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন । বিজেপি-আর এস এসের কাছে কোনো ইস্যু নেই। তাদের একটাই ইস্যু যেনতেন প্রকারণে দাঙ্গা লাগিয়ে ভোটটা ধর্মীয়ভাবে মেরুকরণ করা। কোনো একটা অছিলা করে দাঙ্গা লাগাও। দোষ চাপানো হোক মুসলিমদের উপর। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দায় চাপানো হোক মুসলিম যুবকদের উপর। তারপর তাদের জীবনকে নষ্ট করে দাও। এই হল বিজেপি-আর এস এসের প্রধান খেলা। প্রশাসনের একটা অংশও এই খেলায় মত্ত।

মাদ্রাসাগুলোতে সন্ত্রাসবাদ তৈরির কথা বলা হয়। বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । তারপরে তিনি মহাকরণে মুসলিম নেতাদের নিয়ে একটা বৈঠক করেছিলেন। বলেছিলেন , সব মাদ্রাসার ক্ষেত্রে নয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে দু-একটা মাদ্রাসার কথা বললেও ২০০১ সালে একটারও শ্বেততালিকা প্রকাশ করতে পারেননি। সরকারি মাদ্রাসার ২৪ শতাংশ পড়ুয়া হিন্দু সমাজের। সেখানে এসসি/এসটি কোটা রয়েছে। ঐ বছর ৯/১১ ঘটেছিল। অর্থাৎ ২০০১ সাল।ঐ বছর নিউয়র্কের টু-ইন টাওয়ার ধ্বংস হয়েছিল। পৃথিবী ব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি একটি তত্ত্ব ছড়িয়েছিল। তা হল , ইসলাম-মুসলমান-সন্ত্রাসবাদী সমার্থক। আরো ছড়িয়েছিল ‘Islam in danger , danger in Islam’. কিন্তু প্রমাণিত হয়েছিল টু-ইন টাওয়ার ধ্বংসের পিছনে লাদেন বা মুসলিমদের কোনো হাত ছিল না। এখানে হাত ছিল সিআইএ ও মোসাদের। ছিল পরিকল্পিত ছক। সেই তত্ত্ব ভারতে ছড়িয়েছিল আর এস এস , বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার । বর্ধমানে খাগড়াগড়ের ঘটনা ছিল রাজনৈতিক। সেখানকার মঙ্গলকোর্ট থানার সিমুলিয়া মাদ্রাসা বা মুর্শিদাবাদের লালগোলার মকিমনগর মাদ্রাসার বিষয়গুলো নিস্তেজ। বর্ধমানের খাগড়াগড় কাণ্ডের ৩০ অভিযক্তের মধ্যে ২২ জন বেকসুর খালাস। ৫ জনকে আজো গ্রেপ্তার করা যায়নি। বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে কোনো শক্তিশালী প্রমাণ উপস্হাপন করতে পারছে না।তারাও বেকসুর খালাসের পথে। যখন দেশে মানুষের জ্বলন্ত ইস্যুগুলি ভয়াবহ আকার ধারণ করে তখন সীমান্তেও বেজে উঠে রণভেরি। এটাই এখন শেষ ইস্যু ভোটকে ধর্মীয়ভাবে মেরুকরণ করার। তাই আলোচনা না বাড়িয়ে বলা চলে ভারতে সন্ত্রাসের আরেক নাম গেরুয়া। এটাই বারবার প্রমাণিত। আর ভোট-বসন্তে এটাই বারবার দেখা যাবে। 


আমাদের আরো স্মরণ থাকতে পারে যে, পশ্চিমবঙ্গের ৪-৬ টা প্রধান শিল্পাঞ্চল যথাক্রমে বজবজ, হুগলি, হাওড়া,ব্যারাকপুর ও আসানসোল-দূর্গাপুর -রানীগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের বড় অংশটাই অবাঙালি । কলকাতা সহ শহরতলির ট্যাকিচালকদের বেশিরভাগ হল অবাঙালি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাদের পড়শি ও আপন করে নিয়েছে। এখন বিজেপি শাসিত রাজ্যে যা হচ্ছে তাতে পরিস্থতি তো বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। যদিও বঙ্গে তা হবে না। কেন না এখানকার বঙ্গভাষীরা সকলকেই নিজেদের অতিথি ভাবেন। এটাই হল মোদ্দা কথা। 


 পশ্চিমবঙ্গে আর এস এস তার শাখা সংগঠন বাড়িয়েছে সাংঘাতিকভাবে । আর এস এসের অন্যতম মহিলা সংগঠন দূর্গা বাহিনী দুই ২৪ পরগণার সুন্দরবন এলাকাতে তারা খুব সক্রিয়। দ্বীপাঞ্চলে তাদের ভয়ঙ্কর প্রশিক্ষণ শিবির চলে । পশ্চিমবঙ্গে আর এস এসের শাখা ও তার অঙ্গ সংগঠন ২০১১ সাল থেকে বেড়েই চলেছে। এদের প্রশিক্ষণ ভয়ঙ্কর। এদের প্রশিক্ষণে এই তালিমটাই বিশেষ গুরুত্ব পায় যে, গোপনে বিস্ফোরণ ঘটাও। বলির পাঁঠা করা হোক মুসলিমদের। মুর্শিদাবাদের সুতি থানার নিমতিতা স্টেশনে রেললাইনে বোমা রাখতে গিয়ে সংঘ ঘনিষ্ট মদন দাস ও সাগর দাস ধরা পড়ে গেলে বিষয়টি সামনে আসে। সন্ত্রাসের আরেক নাম এখন গেরুয়া। এই গেরুয়া ভারতের সংবিধানের ধার ‌ ধারে না।


কিন্তু দু-একটা বাদ দিলে কলকাতার টিভি চ্যানেলগুলো ও প্রথম সারির দৈনিক গুলো তো নীরব। মাদ্রাসা-মসজিদগুলো যদি সন্ত্রাসবাদের কারখানা হবে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অফিসের গায়েই তো মসজিদ। কেউ বলতে পারবে কি যে, সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ হচ্ছে? এখন আর এস এস -বিজেপি নতুন ট্রেন্ড তৈরি করেছে। তা হল, প্রতিটি মসজিদের নীচে শিবলিঙ্গ ও মন্দির ছিল। আর কারণে-অকারণে মুসলিমদের আল্লাহকে নিয়ে কুরুচিকর ভাষ্য তৈরি করে গণ্ডগোল পাকানো। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কার্তিক মহারাজ বা বহরমপুরের ছত্রপতি শিবাজি ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশন তার জ্বলন্ত উদাহরণ ।


আর সর্বশেষ মডেল মুর্শিদাবাদের নিমতিতা। তাহলে তো দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসের আরেক নাম গেরুয়া। কারা করেছে গুজরাট গণহত্যা?নেলি- ভাগলপুর-সুরাট-আহমেদাবাদ-মুজফফরনগর কারা করেছে? তবে ভারতে রয়েছে একটা ধর্মনিরপেক্ষতার সাধনা। তাই প্রগতিশীলরা এইসব ঘটনায় রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল হন।


( লেখক কলকাতার বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও বহু গ্রন্হ প্রণেতা)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url