দুর্গাপুরে লিঞ্চিং এর শিকার বীরভূমের গরু ব্যবসায়ীদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন এসডিপিআই-এর বীরভূম জেলা নেতৃত্ব

 

দুর্গাপুরে লিঞ্চিং এর শিকার বীরভূমের গরু ব্যবসায়ীদের  সাথে সাক্ষাৎ করলেন এসডিপিআই-এর বীরভূম  জেলা নেতৃত্ব




ইলামবাজার,বীরভূম, ৯ আগস্ট ২০২৫:

৩১ জুলাই পূর্ব বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে বীরভূমের তিনজন ও দুর্গাপুরের জেমুয়া গ্রামের কয়েকজন গোরু ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে আক্রমণ ও মারধর করে বিজেপি-আরএসএস-এর সন্ত্রাসী বাহিনী। ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত পারিজাত গাঙ্গুলিকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।


৫ আগস্ট এসডিপিআই-এর জাতীয় সম্পাদক তায়েদুল ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দুর্গাপুরের জেমুয়া গ্রামে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন এবং কোকওভেন থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। থানার আইসি মোঃ মাইনুল হক গ্রেফতারের আশ্বাস দিলেও এখনও অভিযুক্ত পুলিশের নাগালের বাইরে।


আজ এসডিপিআই-এর বীরভূম জেলা সভাপতি মোঃ জসিমদ্দিন-এর নেতৃত্বে আরেক প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন আক্রান্ত বীরভূম জেলার ইলামবাজার থানার জয়দেব অঞ্চলের ছোটচক গ্রামের সেখ লখাই (৭০), সেখ আজিম (৬০) ও সেখ জহরলাল (৬৫)-এর সঙ্গে।


রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে মোঃ জসিমদ্দিন বলেন—

"রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মদদ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। বিজেপি ও আরএসএস-এর ভয় দেখিয়ে ভোট নেওয়ার রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এই মৌন সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। নইলে ১০ দিন পার হয়ে গেলেও পারিজাত গাঙ্গুলিকে গ্রেফতার করা হতো। আরও দুঃখজনক বিষয় হলো— এই ঘটনার পরও রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কোনো প্রতিনিধি এখনো আক্রান্ত প্রবীণদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেননি।"


প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন— জেলা কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক সহিদুল সেখ, সদস্য রফি সেখ, নাজিরুল ইসলাম, রজব আলী এবং মাওলানা আব্দুত তোয়াব।


গ্রামবাসীদের উদ্দেশে মাওলানা আব্দুত তোয়াব বলেন—

"ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনই গুরুত্ব দেয় না। স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারই আরএসএস-এর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয়নি, যার ফলে তারা আজ জাতীয় স্তরে সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এখনই সময়, তাদের চিহ্নিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার।"


সহিদুল সেখ

জেলা সম্পাদক

এসডিপিআই — বীরভূম

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url