তিস্তার জলে ডুবে এক হাজার বিঘে কৃষিজমি, ক্ষতিপূরণহীন কৃষকদের আর্তি।



ক্রান্তি ব্লকের চেংমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদা বাড়ি এলাকায় আবারও তিস্তার জলে বিপর্যস্ত কৃষক সমাজ। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক জলছাড় ও নদীর অনিয়মিত প্রবাহের কারণে প্রায় এক হাজার বিঘে ধান রোপন করা জমি জলের তলায় চলে গেছে।

স্থানীয় কৃষক নাসির উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “বহুবার আবেদন করার পরেও আমরা সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। বিডিও অফিস থেকে শুরু করে মালবাজার কৃষি দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি, কিন্তু আজও ফসলের ক্ষতিপূরণ পাইনি।” তিনি দাবি করেন, গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে অনিয়মিতভাবে জল ছাড়ার কারণেই প্রতি বছর একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।


অন্য এক কৃষক হরিপদ সরকার বলেন, “আমাদের জীবিকা একমাত্র কৃষিকাজের উপরেই নির্ভরশীল। এ বছর দুই একর জমিতে ধানের চাষ করেছিলাম। কিন্তু তিস্তার জল ঢুকে সব শেষ। বয়স হয়েছে, অন্য কোনো কাজের সামর্থ্য নেই। সংসারের খরচ কীভাবে চলবে এখন?”


অন্যদিকে, নেউলা বস্তি এলাকায় বর্তমানে ইস্পাতের মেরামতির কাজ চলছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুল হক জানান, “যদি সামনের দিকটা সঠিকভাবে মেরামত করা হয়, তাহলে কৃষি জমিগুলো বাঁচানো সম্ভব।”


স্থানীয় কৃষক মাহতাবুল ইসলাম ভয় প্রকাশ করে বলেন, “রাত হলেই ঘুম উড়ে যাচ্ছে। নদী প্রায় হাফ কিলোমিটার কৃষিজমির দিকে চলে এসেছে। আশঙ্কা করছি, আগামী দিনে জমিগুলো তিস্তায় তলিয়ে যাবে।”


কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক এবং নদীর ভাঙন রুখতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হোক। না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর কৃষি সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url