১২ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ম*র্মা*ন্তি*ক দু*র্ঘ*ট*না, প্রা*ণ গেল প্রবীণ সাইকেল আরোহীর
আবারো বড়োসড় দুর্ঘটনা বাসুদেবপুর চেন্নাই বিরিয়ানির সামনে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ম*র্মা*ন্তি*ক দু*র্ঘ*ট*না, প্রা*ণ গেল প্রবীণ সাইকেল আরোহীর
সামশেরগঞ্জে আবারও রক্তাক্ত করল জাতীয় সড়ক। শুক্রবার সকালে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাসুদেবপুরে চেন্নাই বিরিয়ানির সামনে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মৃত ব্যক্তির নাম লাটাবর শেখ (৭৫)। স্থানীয় সূত্রে খবর, লাটাবর শেখ সাইকেল নিয়ে রাস্তা পারাপার করার সময় একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার সজোরে ধাক্কা মারে তাঁকে। ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই প্রবীণের।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সামশেরগঞ্জের ট্রাফিক ওসি প্রণব কুমার রায়। তিনি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, গত কয়েক মাস ধরেই সামশেরগঞ্জের ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও প্রাণ যাচ্ছে এই রাস্তায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এই ধরনের দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের এই ব্যস্ত এলাকায় সিগন্যাল, স্পিড ব্রেকার কিংবা পর্যাপ্ত পুলিশি নজরদারি নেই বললেই চলে। এর জেরেই বড় গাড়িগুলি অতিরিক্ত গতিতে চলাচল করে এবং সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হন। প্রতিনিয়ত প্রাণহানির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সমগ্র এলাকায়।
একাধিক দুর্ঘটনার পরও কেন কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, না হলে আরও প্রাণহানি ঘটতেই থাকবে।
👉 একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রমাণ করছে, জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা দুর্বল। এবার প্রশ্ন উঠছে, এই মৃত্যুমিছিল আটকাতে প্রশাসন কতটা সক্রিয় হবে?