ফেরিওয়ালা সেজে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি
ফেরিওয়ালা সেজে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি
জঙ্গিপুর পুলিশের জালে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত ‘বদাউন’ গ্যাং গ্রেফতার ৬ দুষ্কৃতি, উদ্ধার অস্ত্র ও লুটের সামগ্রী
মুর্শিদাবাদ জেলার সূতি থানার অন্তর্গত মদনা এলাকায় প্রায় এক মাস আগে ঘটে যাওয়া সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনার কিনারা করল জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বদাউন জেলার একটি কুখ্যাত ডাকাত চক্রের মোট ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা পরিকল্পিতভাবে ফেরিওয়ালার ছদ্মবেশে প্রথমে গ্রামে প্রবেশ করে। এরপর এলাকার পরিস্থিতি ও সোনার দোকানগুলির উপর নজরদারি চালিয়ে সুযোগ বুঝে মদনা এলাকার একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না লুট করে পালিয়ে যায়। অপরাধ সংঘটনের জন্য তারা গ্রামেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস করত বলেও তদন্তে উঠে এসেছে।
ঘটনার পর থেকেই তদন্তে নামে সূতি থানার পুলিশ।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি,তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সূত্রের সাহায্যে অভিযুক্তদের গতিবিধি শনাক্ত করে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম সুনীল সিং, বিজয় সিং, শ্যাম সুন্দর, সোনি, প্রিয়াঙ্কা ও রুবি— সকলেরই বাড়ি উত্তরপ্রদেশে।
পুলিশ জানান , এরা ‘বদাউন’ গ্যাং দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় ভাবে ডাকাতি করছিল ছিল। ধৃত বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকা, মুরারই ও নলহাটিতে ডাকাতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি উত্তরপ্রদেশ পুলিশও দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের খোঁজ করছিল বলে জানা গেছে। সন্দেহ এড়ানোর জন্যই এই গ্যাং অপরাধে মহিলাদের ব্যবহার করত বলে জানান এসপি।
এদিকে, পাকুড় থানার সহায়তায় ধৃতদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একাধিক সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ । এর মধ্যে রয়েছে ছেনি, হাতুড়ি, হাসুয়া, তালা কাটার সরঞ্জাম, মোটা দড়ি এবং কিছু সোনার গয়না। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লুট হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের পাশাপাশি এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে পুলিশ সুপার অমিত কুমার সাউ। তিনি জানান, এই সাফল্যে এলাকায় পরিবেশ শান্তি তে বসবাস করুক পুলিশ সবসময় মানুষের সঙ্গে রয়েছে।
