স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, ২০ বছর কারাবাসের আদেশ

 



পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত ভবানীপুর থানা এলাকায় চকদ্বীপা গ্রামের দুলাল মাজির কন্যা লক্ষ্মীর সঙ্গে হলদিয়া থানা এলাকার সাউতানচক গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসের বিয়ে হয় ২০০৭ সালে, ঘরে আসে দুটি পুত্রসন্তানও, কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নেশা করে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত বিশ্বজিৎ, এমনটাই অভিযোগ পাড়াপড়শি এবং লক্ষ্মীর পরিবারের।


অত্যাচার চরমে ওঠে ২০১৯ সালের ১৭ মে। সকালে লক্ষ্মী দেবীর সঙ্গে একপ্রস্থ ঝগড়া হয় বিশ্বজিতের, তার জেরেই দুপুর দুটো নাগাদ ধারালো কাটারি দিয়ে স্ত্রীকে আক্রমণ করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সে। ঘটনার পর পালানোর চেষ্টাও করে, কিন্তু প্রতিবেশীরা ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাকে।


মৃতার দাদা ভুতুনাথ মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয় হলদিয়া থানায়, তদন্তকারী অফিসার নিযুক্ত হন তৎকালীন সাব-ইনসপেক্টর সঞ্জীব দত্ত। পরবর্তীতে তদন্তভার যায় সাব-ইনসপেক্টর ভক্তিপদ দলুইয়ের হাতে, এবং তারও পরে তদন্ত সম্পন্ন করে ১৪ অগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সাব-ইনসপেক্টর সমীর মুখার্জী।


বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয় ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, বিচারপর্ব চলাকালীন আগাগোড়া হেফাজতে থাকে আসামী। মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর রায় প্রকাশিত হয়েছে গত মাসে, বিশ্বজিৎ দাসের ২০ বছর কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন হলদিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত।


Purba Medinipur District Police

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url