পরিবারের চার সদস্যকে একা হাতে হত্যা, মৃত্যুদণ্ড




মালদা জেলায় কালিয়াচক থানা এলাকার ঘটনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১। সম্পত্তির লোভে নিজের বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমাকে ঠাণ্ডা মাথায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মহম্মদ আসিফ। হত্যার চেষ্টা করে তার দাদা আরিফকেও, তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। চার-চারটি খুনই শুধু নয়, তারপর তিন মাস ধরে নিজের নিকটতম পরিজনদের দেহ নবনির্মিত বাড়ির গুদামঘরে পুঁতে রাখে আসিফ, এবং সেই বাড়িতে একা বসবাসও করতে থাকে।


সে বছরেরই ১৯ জুন, অর্থাৎ ঘটনার প্রায় চার মাস পর, আরিফের অভিযোগের ভিত্তিতেই দায়ের হয় মামলা। গুদামঘর থেকে উদ্ধার হয় চারটি পচাগলা দেহ। বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্তের নেতৃত্ব দেন যথাক্রমে সাব-ইনসপেক্টর সিরাজউদ্দিন সরকার, সাব-ইনসপেক্টর রাকেশ বিশ্বাস, এবং সাব-ইনসপেক্টর পবিত্র মাহাতো। সরকার পক্ষের আইনজীবী শ্রী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে প্রায় চার বছর বিচারপর্ব চলে মালদা জেলা আদালতে, আসিফের দাদা সহ মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 


সম্প্রতি প্রকাশিত মামলার রায়ে আসিফকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন মালদা জেলা আদালতের বিচারপতি শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও, প্রমাণ লোপাটের জন্য সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, এবং হত্যা প্রচেষ্টার জন্য ১০ বছরের জেল ও ১০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।


বিরলতম এই মামলায় সাফল্যের জন্য অভিনন্দন কালিয়াচক থানা এবং বিভাসবাবু, অভিনন্দন।


Malda District Police

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url