দিল্লিতে মালদার চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিক, তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানের উপর পুলিশি নির্যাতনের
দিল্লিতে মালদার চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিক, তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানের উপর পুলিশি নির্যাতনের ছবি তুলে ধরে রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই অপরাধেই রবিবার রাতে ফের ওই পরিযায়ী শ্রমিক সহ তার গোটা পরিবারকে আটক করার অভিযোগ উঠল দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই নতুন করে ফের জোর চাঞ্চল্য তৈরি হল মালদার চাঁচলের পিরোজাবাদ এলাকায়। কারণ দিল্লি পুলিশের হাতে আটক পরিযায়ী শ্রমিক মুক্তার খান, তার বাবা-মা ও স্ত্রী চাঁচলের পিরোজাবাদের বাসীন্দা। তারা দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে সপরিবারে থেকে শ্রমিকের কাজ করে দিন গুজরান করছিলেন। মুক্তার খানের বোন মুক্তারি খাতুনের অভিযোগ, গত শনিবার দিল্লি পুলিশ তার বউদি সহ বউদির শিশু সন্তানকে আটক করে থানায় নিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে নির্যাতন চালায়। পরে তাদের ছেড়ে দেয়। কিন্তু তাদের উপর হওয়া নির্যাতনের ছবি তার দাদা ফেসবুকে পোস্ট করেন। যা রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরে দিল্লি পুলিশের বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হন। আর এরপরেই রবিবার রাত নটা নাগাদ ফের দিল্লি পুলিশ তার দাদা, বউদি এবং বাবা-মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। সোমবার সকাল পর্যন্ত তাদের থানাতেই আটক করে রাখা হয়েছে বলে জানতে পারছেন। কিন্তু কী কারণে আটক সেই ব্যাপারে দিল্লি পুলিশ তাদের কিছুই জানাচ্ছে না। তাই দিল্লিতে আটক পরিবারবর্গের জন্য গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাদের দ্রুত মুক্তির দাবী জানিয়ে সোমবার তারা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।