কুড়ি বছরের জেল দিলো আদালত :জঙ্গিপুর




গত ২০২৩ সালের ১৬ই নভেম্বর সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত মহব্বতপুর গ্রামে দুপুরবেলা বাড়ির উঠোনে খেলাধুলা করছিল এক নাবালিকা কন্যা। সেই সময় ইউসুফ শেখ ওরফে আপেল নামে বছর ছাব্বিশ এর প্রতিবেশী এক ব্যক্তি ওই নাবালিকা মেয়েটিকে খাবারের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে যায় এবং গুরুতর যৌন নির্যাতনের শিকার করে।

নির্যাতিতা মেয়েটির কাকার অভিযোগের ভিত্তিতে সামশেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয় পকসো আইনের ৬ নং ধারা অনুযায়ী যার কেস নাম্বার:৪২৭/২৩,তারিখ ১৬.১১.২০২৩।মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন সাব ইন্সপেক্টর হিরন্ময় ত্রিবেদী।খুব দ্রুত গ্রেপ্তার হয় ঘটনার মূল এবং একমাত্র অভিযুক্ত ইউসুফ শেখ ওরফে আপেল।এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সমস্ত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে জমা করা হয় নিশ্ছিদ্র চার্জশিট।আজ ইংরেজি ৩১শে জুলাই জঙ্গিপুর প্রথম পকসো আদালতের মহামান্য বিচারপতি অভিযুক্ত ইউসুফ শেখ কে বিচারপর্ব শেষে দোষী সাব্যস্ত করে পকসো আইনের ধারা ৬ লঙ্ঘনের জন্য কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭ অনুযায়ী সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত করেছেন।


মহামান্য আদালতের এই রায় সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও শিশু সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।আশা করা যায়,এটি সমাজে এমন জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এবং তদন্তকারী অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর হিরণময় ত্রিবেদীকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url