এস এম নিজাম উদ্দিন-র স্মরণ-19/7/25,
এস এম নিজাম উদ্দিন-র স্মরণ-19/7/25,
--কাজী আমিনুল ইসলাম
এস এম নিজামউদ্দিন একজন সাহিত্যিক ছিলেন। গুলবাগ অ্যকাডেমি- এক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।তাঁর জন্মভূমি -গোফুরপুর বরজ জঙ্গিপুর।তাঁর সীমা
অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণে সাহিত্য করেছেন।হঠাৎ চলে গেলেন। মানুষ-- অতএব যাবেনই। আরও বিশ্বে থাকার চেষ্টা করেন তাঁর পরিজন। সম্ভব হয়নি। চলে গেলে সামাজিক যা করার দায়দায়িত্ব নিজ পরিবারের। কিন্তু সাহিত্যিক হিসেবে তাঁর স্মরণ সভা করার দায়িত্ব স্থানীয় সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীর। স্থানীয় কবি রিনা কংসবণিক, অধ্যাপক ডঃ নুরুল মোর্তজা প্রমুখের উদ্যোগে স্মরণ সভা হল।বেশ ভালো উপস্থিতি দেখা গেল। তাঁর জীবন প্রবাহ ও সাহিত্য অনেকেই বললেন। সুন্দর তথ্য দিলেন রংধনু পত্রিকার সম্পাদক জয়নুল আবেদিন। নিজামুদ্দিনের বিভিন্ন বই থেকে উদ্ধিতি দিয়ে লেখকের লেখার গভীরতা ব্যখ্যা করলেন। আমি নিজেই অবাক। এত গভীর ভাবে নিজামউদ্দিনের লেখা পড়িনি।
সভাপতির আসন থেকে বলার সেরকম সুযোগ থাকে না। তাছাড়া নতুন আর বলব কী!সাহিত্য সংষ্কৃতি- জঙ্গিপুর সম্পর্কে বিরুপ কানে আসে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল তাই বলতাম। ডিএলরায়ের বাবা প্রখ্যাত সাহিত্যিক দেওয়ান রায়ের বইয়ে -তাঁর দেখা জঙ্গিপুর কিছু তুলতাম। লোক সংষ্কৃতি -আলকাপ, ঝমুর কাহিনী কবিগান তুলতাম। সাহিত্য সভা ছিল না। তবে বিখ্যাত জ্ঞানীগুণী --কাজী আব্দুল ওদুদ, বিবেকানন্দ মুখার্জি প্রমুখ এসেছেন! সাহিত্য আলোচনা করেছেন। কিছু মাষ্টার মশাই শিক্ষিত জন আড্ডা করতেন।বিখ্যাত লেখকদের আলোচনা হত। স্কুল ম্যাগাজিন প্রকাশ হত। তারপর দুর্গা সরস্বতী
পুজোয় ক্লাব ভিত্তিক পত্রিকা করা শুরু হয়। এই সময় তরুণ লেখকেরা বসা শুরু করে। তারা কোনও কোনও শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় -বিশেষ করে সতু বড়াল মাষ্টার মশাই, সাহিত্য বৈঠক যাকে বলে শুরু হয়। এটি আমাদের যুগ। এই বৈঠক কলকাতার দিকে আগেই শুরু হয়।
জঙ্গিপুর সাহিত্য পরিবেশ ধাপ ধাপে এগিয়েছে।দ্বিতীয় ধাপে কলেজের মাষ্টার মশাইরা সহযোগী হন। বিশেষ করে যারা ডক্টরেট করতেন। সে আমলে নতুন সাহিতিক অনেক ছিলেন। নিজামউদ্দিন তাঁদের সঙ্গে মিশেছেন।বিভিন্ন সাহিত্য সভায় ডাক পান। সরল গ্রাম্য জীবন নিয়ে লেখা অবশ্য এটা বিবরণ মূলক তাতে সাহিত্যরস ঢেলেছেন।
তিনি সাহিত্যিক ছিলেন । কিন্তু সাহিত্যিকেরা চলে যাওয়া সাহিত্যিককে মর্যাদা দিয়ে চলেছেন, সেটি সামাজিক আলোর দিক। চলতু সাহিত্যিকদের প্ররণা।
20/7/25